যেখানে যেমন পোশাক পরবেন Saree Style

saree style, পোশাক আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস। আমরা চাইলে যেখানে সেখানে, যেমন তেমন পোশাক পরতে পারি না। যেমন আমরা অফিসের পোশাক পরে সমুদ্রসৈকতে হাটতে পারিনা, তেমনি বিয়ের দাওয়াতের জন্য আপনি যেমন পোশাক পরবেন সেটা অফিসের জন্য বেমানান। তাই আমাদের উচিত সঠিক স্থানের জন্য সঠিক পোশাক বাছাই করা,  ভালো স্থান, আয়োজন কিংবা উৎসব বুঝে। 

চলুন যেনে নেই কখন আমরা কেমন পোশাক পড়ব 

ধর্মীয় উৎসবের সময়ঃ saree style

বিভিন্ন ধর্ম অনুযায়ী বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ, পূজা ও বড়দিন। এসব দিনে আমরা সবাই নতুন পোশাক পরে থাকি। কারন বিভিন্ন ধর্মের লোকদের জন্য এই দিনগুলো খুবই বিশেষ দিন। তারই প্রেক্ষাপটে সবাই নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ কে গুরুত্ব দেন এসব দিনের পোশাক পরার ক্ষেত্রে। মেয়েরা মূলত ঈদের দিন শাড়ি, কামিজ, লেহেঙ্গা  ইত্যাদি ধরনের পোশাক পরে থাকে। অনেকে পরে থাকেন বর্ণিল ও গর্জিয়াস পোশাক। আর ছেলেরা পরে থাকেন পাঞ্জাবি, পাজামা, শার্ট, প্যান্ট, কাতুয়া, কাবলি ছুট ইত্যাদি।

 

বিয়ের অনুষ্ঠানেঃ

বিয়ের অনুষ্ঠান বিশেষ একটি অনুষ্ঠান, এখানে আমরা সবাই অনেক আনন্দ করে থাকি। বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেলেই, আমরা চিন্তায় পরে যাই, কী পরব? মেয়েরা একটু বেশি চিন্তিত থাকেন, কেমন পোশাক পরবেন কিভাবে সাজবেন আরও অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন। একটা সময় ছিল, বিয়ে মানেই শাড়ি পড়া। কিন্তু এখন সেটা অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। এখন অনেকেই থ্রি পিজ, কামিজ, লেহেঙ্গা, ইত্যাদি পরে থাকেন। যেন গর্জিয়াস লুক থাকে নিজের মধ্যে। নিজেকে গর্জিয়াস লাগুক এটা কেনা চায়। তাই একটু গর্জিয়াস লুক নেয়া অথবা মেকআপ আর গর্জিয়াস ড্রেস পড়াটাই ভালো। অধিকাংশ বিয়েই এখন রাতে হয়, তাই মেয়েরা গাঢ় রঙের পোশাক পরতে পারেন। হলুদের প্রোগ্রামে হলুদ রঙের শাড়ি পড়াটাই ভালো, চাইলে অন্য শাড়িও পরতে পারেন, কিন্তু হলুদ শাড়িটাই বেশি মানায়।

ঐতিহ্য উৎসবেঃ

বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী উৎসব যেমন পহেলা ফালগুণ, পয়লা বৈশাখ। এসব দিনে মেয়েরা শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি পরে থাকেন। বাসন্তী রঙের শাড়ি পরতে পারেন পহেলা ফাল্গুনে। এছাড়াও এসব দিনে সাদা রঙের কাপড়ের ওপর লাল রঙের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নকশা করা শাড়ি পরতে পারেন। মেয়েরা গহনা পরতে ভালবাসেন, তরাই শাড়ির সাথে মিল রেখে হালকা গহনা পরতে পারেন, কারন ভারী গহনা পড়ার প্রচলন এখন তেমন নেই। আর শাড়ির থাকে হালকা গহনাই ভালো লাগে। 

বেড়াতে গিয়েঃ Saree Style

দিন দিন অনেক বেড়েছে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও অন্যান্য নিদর্শন দেখার আগ্রহ ও প্রবণতা।আপনাকে ওই জায়গার ধরন অনুযায়ী পোশাক নিয়ে যেতে হবে বেড়াতে যাওয়ার আগে।মেয়েদের শাড়ি বা ঢিলেঢালা পোশাক না পরাই বাঞ্ছনীয় সমুদ্রতীরে বেড়াতে বা পানিতে নামার সময়।এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধাজনক পোশাক হতে পারে টি-শার্ট, টিউনিক, টপের সঙ্গে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট, লেগিংস পরা।যদি আপনি পাহাড়ি এলাকায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে মেয়েদের  জন্য ট্র্যাকিং স্যুট, টি–শার্ট, ট্রাউজার ইত্যাদি পরা ভালো।কেডস নিতে কিন্তু ভুল করবেন না।আপনাকে পরিহার করতে হবে হিলওয়ালা জুতা। উলের বা পশমি পোশাক নিয়ে যেতে পারেন শীতল এলাকায় বেড়াতে গেলে।

অফিসেঃ

অফিসে আমাদের সবারই ফরমাল পোশাক পরতে হয়। তাই কর্মজীবী মেয়েরা অফিসের কাজে কিংবা মিটিং, সম্মেলন, সেমিনার ইত্যাদি জায়গায় ফর্মাল পোশাক পড়াটাই ভালো। যা–ই পরুন না কেন শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ সেটা যদি হয় এক রঙের তাইলে ভালো হয়। তবে প্রিন্টের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজে না পরাই ভালো। অফিসের বেপারে আপনাকে সচেতন হতে হবে পোশাকের রঙ নিয়ে। তাই উজ্জ্বল বা শকিং কোনো রঙের পোশাক না পরাই ভালো। আপনাকে সচেতন হতে হবে শাড়ি পরলে ব্লাউজের কাটের ব্যাপারে।স্মার্টনেস বাড়ানোর জন্য শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের ওপর ব্লেজার পরতে পারেন।আনুষ্ঠানিক পোশাক পরা প্রয়োজন চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার সময়।এ ধরনের পোশাক পরা ভালো পেশাদার কাজে কারও সঙ্গে দেখা করতে গেলে। তবে এখন মেয়েদের অফিসে shart pant porte dekha jay.

যেভাবে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে প্রিয় কাপড়টি Fabric Care

ছোট আয়োজনেঃ Saree Style

এখন প্রায়ই যেতে হয় জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর মতো অনুষ্ঠানে।গুরুত্ব দিতে পারেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মেয়েরা তাঁদের নিজস্ব পছন্দকে।আপনি চাইলে গর্জিয়াস শাড়ি পড়তে পারেন বিবাহবার্ষিকীতে।বেশিই দেখা যাচ্ছে ঝোঁকটা সেদিকে।

Sharee – Clothing – Women’s Fashion