Saree Fashion কিভাবে হয়!

কথাইয় আছে- মেয়েরা যেমন রাঁধে তেমনি চুল ও বাঁধে। শাড়ি ফ্যাশান(Saree Fashion) চল কোনও দিন পুরনো হয় না।আর ফ্যাশানর কথা কি বলব শাড়ি বেশ ট্রেন্ডিং। অনেকে সাবেকিয়ানাতে শাড়ি আবার অনেকে ফ্যাশানে শাড়ি পড়ে থাকেন।

আজকাল অনেকেই শাড়ি পরা খুব ঝামেলা মনে করেন। আবার অনেকে পুরোনো স্টাইল মনে করেন। যারা সচরাচর শাড়িকে একটু ভিন্ন মাত্রা দিতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি।এভাবে শাড়ি পরলে খুব সুন্দর দেখাবে আপনাকে। শাড়ি একটু ফ্যাশান করে পরলে সবাইকেই বেশ সুন্দর দেখায়।

বিভিন্ন স্টাইল এর শাড়ি পরার নিয়ম-

ধুতি স্টাইল-

এখানে মেয়েদের ধুতি পড়ার কথা বলা হচ্ছে না, তবে এই স্টাইল নিয়ে আসতে পারবেন সচরাচর শাড়ী পরতে। তাই পরেরবার কোন অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে এই ধুতি স্টাইলে শাড়ি পরার একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে লেগিংস বা জিন্স পড়তে হব। পেটিকোট পরা লাগবে না। নয়তো শাড়িতে ধুতির প্রভাব আনতে সুবিধা হয়। হয়ত একটু কঠিন মনে হতে পারে আপনাদের কাছে তবে একবার পরার পর আশা করি খারাপ লাগবে না সহজ হয়ে যাবে। তাছাড়া এভাবে শাড়ী পরলে আপনাকে ভালো লাগবে চেষ্টা করে দেখলে তো কোন দোষ নেই। শাড়ির কাপড়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিফন বা লিনেন কাপড় বেঁছে নিবেন। কারণ এ ধরনের কাপড় সহজেই যেভাবে খুশি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই।  এর সাথে হাতাকাটা বা অফ-শোল্ডার ব্লাউজ খুব ভালো মানিয়ে যাবে।

বেল্ট স্টাইল-

এখন বেল্ট স্টাইল শাড়ী পরাটা অনেকটাই পরিচিত হয়ে উঠেছে সবার কাছে, যেখানে সাধারণ শাড়িকে আপনি করে তুলতে পারেন স্টাইলিশ। এর জন্য আপনি যেকোন রঙের শাড়ি বেঁছে নিতে পারেন। তবে গাঢ় রঙের শড়িতে বেল্ট স্টাইল অনেক বেশি মানানসই হয়ে থাকে। এই স্টাইলের জন্য ইনফিনিটি ড্রেপ দেওয়া শাড়ির স্টাইলের সাথে এই সাজ অভিনবত্ব আনার জন্য জুড়ে নিন একটা বেল্ট।আপনি এই শাড়ির সাথে ব্লাউজের বদলে টপ বা শার্ট পরতে পারেন। এতে দেখতে আপনাকে খারাপ লাগবেনা আর শাড়িটাও বেশ ফিট থাকবে।

নেক ড্রেপ স্টাইল-

অনেকেই ওড়নার একপাশ সামনে ছেড়ে দিয়ে, অন্যপাশ গলায় পেচিয়ে পড়েছি, একেই নেক ড্রেপ স্টাইল বলে। তাই এই স্টাইল এ  শাড়ির পরলে কিন্তু মন্দ দেখাবে না। শাড়ির আঁচল পিছনে ছেড়ে না দিয়ে  তা ঘুরিয়ে সামনে এনে গলার সাথে পেচিয়ে আবার পিছনে দিয়ে দিন। তার জন্য আঁচলের দৈর্ঘ্য অনেকটাই বড় রাখতে হবে তা নাহলে ঘুরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এভাবে আঁচলের অনেকরকম স্টাইলও করা সম্ভব হবে শাড়িতে। তবে এ স্টাইলের (নেক ড্রেপ) স্টাইলে শাড়ি হতে হবে শিফন বা লিনেন কাপড়ের। আপনি যদি খুব ভারী কাপড়ের শাড়ি বেঁছে নেন, তাহলে তা গলায় ড্রেপ করলে সাছন্দ্যবোধ করবেন না। এবংকি সুতি বা জামদানিতেও এই ধরনের স্টাইল মানাবে না। তাই শাড়ি পছন্দ করার সময় কাপড়ের ধরন মনে রাখবেন। যেহেতু এ স্টাইলে গলায় পেচানর একটা ব্যাপার থাকে তাই ছড়ানো গলা বা বোর্ড গলার ব্লাউজ পরতে হয়।

প্যান্ট স্টাইল-

এ স্টাইলে শাড়ী পরতে আপনার শাড়ীর সাথে যেকোন প্যান্ট লাগবে,জিন্স প্যান্ট হলে ভালো হয়।দেখতে সুন্দর লাগে। এই স্টাইলে শাড়ী পরলে  আপনাকে যেমন স্মার্ট দেখাবে তেমনি ঐতিহ্যবাহী পোশাকও পরা হবে। এ ক্ষেত্রে, পেটিকোটের কোন প্রয়োজন নেই। প্রথমে শাড়ি পেচানোর পরিবর্তে শাড়ির কুচি থেকেই বাকি অংশ আঁচলের মত পড়ে নিতে হবে আপনাকে। একদিকে যেমন আপনার শাড়ির ভাঁজ দেখা যাবে, অন্যদিকে আপনার প্যান্টও দেখা যাবে হাটার সময়, এতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগবে। এই ধরনের স্টাইল খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে তরুণীদের মধ্যে। যারা শাড়ি সামলানো ঝামেলা মনে করেন,তারা এ স্টাইল ট্রাই করতে পারেন। আর তাদের জন্য একদম মানিয়ে যাবে প্যান্ট স্টাইল শাড়ি। তরুণীরাই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে এ ধরনের শাড়ীর ফ্যাশন। এতে একটা নয়া লুক আসবে।

সামনে আঁচল স্টাইল-

আমরা সবাই আঁচল পিছনে ফেলে শাড়ী পরি।কিন্তু এবার একটু ভিন্ন স্টাইলে শিখাব। এবার সামনে আঁচল রাখার স্টাইলে শাড়ী পরা শিখাব। এর স্টাইলে সচরাচর যে নিয়মে শাড়ি পরেন সেভাবেই,শুধু আঁচল পিছনে না দিয়ে তা ঘুরিয়ে এনে সামনে দিয়ে দিলেই হবে। সব ধরনের কাপড়ের শাড়ির সাথেই এ স্টাইলে পরতে পারবেন।

ক্লাসিক ট্যুইস্ট-

ক্লাসিক্যাল ট্যুইস্ট স্টাইল একেবারে মেয়েদের মর্ডার্ণ লুক এনে দেয়। এ স্টাইলে মেয়েদের  দেখতে অনেকটা স্মার্ট লাগবে এবং শাড়ী ক্যারি করাও খুব সহজ হবে। শাড়িটি যেভাবে পড়লেন আর শাড়ির আঁচলটা আপনি প্লিট করে নিন সরু করে। আর কোমরের কাছে একটু নিচু করে শাড়িটি পড়বেন এবার প্লিট করা আঁচলটা কাঁধের উপর ফেলে দিন। এই স্তাইলে শাড়ী পরলে খুব সুন্দর দেখাবে।